rupkatha-png
টেট্রাগোনুলা প্রজাতির মৌমাছির অস্তিত্ব পাওয়া গেলো রাজ্যে

*টেট্রাগোনুলা প্রজাতির মৌমাছির অস্তিত্ব রাজ্যে।* 13/3/2025 PTC-KHOWAI. সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম নতুন প্রজাতির মৌমাছির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেল এ রাজ্যে। সদ্য আবিষ্কৃত এই নতুন প্রজাতির মৌমাছিটির বৈজ্ঞানিক নাম টেট্রাগোনুলা। সম্প্রতি কিছুদিন পূর্বে খোয়াই কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের কৃষি তত্ত্বাবধায়ক শ্রীকান্ত নাথ রাজ্যে এই মৌমাছিটির অস্তিত্ব খুঁজে পান ধলাই জেলায়। ভারতবর্ষে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই নতুন একটি প্রজাতির মৌমাছির আবিষ্কার হয়। কৃষি তত্ত্বাবধায়ক আকাশবাণীর প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বর্তমানে এই প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে খোয়াই কৃষি তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের একটি গাছে এবং একটি পরিত্যক্ত ঘরের কোনায়। এই মৌমাছির মধু প্রতি কিলো কুড়ি হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশে। ভারতবর্ষের ব্যাঙ্গালোরে এই প্রজাতির মৌমাছির প্রচুর চাষ করা হচ্ছে। কৃষি তত্ত্বাবধায়ক জানান, এই মধুর সাহায্যে ক্যান্সার রোগের ঔষধ এবং হোমিও ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে এই মৌমাছি রাজ্যে চাষ শুরু হলে রাজ্যের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার অনেকটাই অগ্রগতি হবে।

টেট্রাগোনুলা প্রজাতির মৌমাছি হল মেলিপোনিনি উপজাতির অন্তর্গত একটি মৌমাছি প্রজাতি। এরা সাধারণত স্টিংলেস মৌমাছি নামে পরিচিত, কারণ এদের হুল থাকে না বা খুবই ক্ষীণ। টেট্রাগোনুলা প্রজাতির মৌমাছি প্রধানত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে পাওয়া যায়। এরা মধু উৎপাদন করে এবং পরিবেশের পরাগায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টেট্রাগোনুলা মৌমাছি তাদের অনন্য বাসা তৈরির জন্য পরিচিত। এরা প্রাকৃতিক গহ্বর, গাছের কাণ্ড বা অন্যান্য সুরক্ষিত স্থানে মোম ও প্রোপোলিস ব্যবহার করে জটিল কাঠামো তৈরি করে। এদের মধু সাধারণত অন্যান্য মৌমাছির মধুর চেয়ে বেশি অম্লীয় এবং ঔষধি গুণসম্পন্ন বলে বিবেচিত হয়। টেট্রাগোনুলা প্রজাতির মৌমাছি স্থানীয় কৃষি ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে। এদের সংরক্ষণ ও গবেষণা পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।