হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার জীবন
হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা (Homi Jehangir Bhabha) আধুনিক ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং ভারতীয় পরমাণু শক্তি গবেষণার জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৯০৯ সালের ৩০ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) এক পারসি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, এবং পরিবারে শিক্ষার পরিবেশ ছিল অত্যন্ত উন্নত। ছোটবেলা থেকেই তার গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল।
শিক্ষা জীবন
-
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা
- তিনি ভারতের মুম্বাই (তৎকালীন বোম্বে) শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই তার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
- ছোটবেলা থেকেই তার গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ দক্ষতা ছিল।
-
উচ্চশিক্ষা – কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
- বাবা-মায়ের ইচ্ছানুসারে তিনি প্রকৌশলী (Engineer) হওয়ার জন্য ইংল্যান্ডের গনভিল অ্যান্ড কেয়াস কলেজ, কেমব্রিজ (Gonville and Caius College, Cambridge)-এ ভর্তি হন।
- তবে, তার আগ্রহ ছিল তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে, তাই তিনি প্রকৌশল শিক্ষার পাশাপাশি গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানেও পড়াশোনা চালিয়ে যান।
-
কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার প্রতি আগ্রহ
- কেমব্রিজে অধ্যয়নকালে বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী পল ডিরাক (Paul Dirac) ও নিলস বোর (Niels Bohr)-এর গবেষণায় অনুপ্রাণিত হন।
- ১৯৩০ সালে তিনি প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করলেও, তার প্রকৃত আগ্রহ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে থাকায়, তিনি পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর গবেষণা শুরু করেন।
- ১৯৩৩ সালে তিনি ডক্টরেট (PhD) ডিগ্রি লাভ করেন।
- কেমব্রিজে অধ্যয়নকালে বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী পল ডিরাক (Paul Dirac) ও নিলস বোর (Niels Bohr)-এর গবেষণায় অনুপ্রাণিত হন।
গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক অবদান
হোমি ভাবা কসমিক রশ্মি, কণা পদার্থবিদ্যা এবং পারমাণবিক শক্তির ওপর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন। তার কিছু প্রধান গবেষণার বিষয়বস্তু :
১. কসমিক রশ্মি ও ভাবা স্ক্যাটারিং (Bhabha Scattering)
- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন, তিনি কসমিক রশ্মি (Cosmic Rays) নিয়ে গবেষণা করেন।
- কসমিক রশ্মির মধ্যে ইলেকট্রন ও পজিট্রনের (Electron & Positron) সংঘর্ষের ফলে কীভাবে শক্তি উৎপন্ন হয়, তা ব্যাখ্যা করেন।
- এই প্রক্রিয়াটি আজ "ভাবা স্ক্যাটারিং" (Bhabha Scattering) নামে পরিচিত এবং এটি কণা পদার্থবিদ্যার (Particle Physics) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২. ভারতে পরমাণু শক্তির ভিত্তি স্থাপন
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হলে, তিনি ১৯৩৯ সালে ভারতে ফিরে আসেন।
- তিনি বুঝতে পারেন যে পরমাণু শক্তি (Nuclear Energy) হবে ভবিষ্যতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস।
- ভারতের পরমাণু শক্তির গবেষণা এবং বিকাশের জন্য টাটা ট্রাস্টের সহায়তায় ১৯৪৫ সালে "টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ" (TIFR) প্রতিষ্ঠা করেন।
- তিনি ভারতের Atomic Energy Commission (AEC)-এর প্রথম চেয়ারম্যান হন।
৩. ভারতের প্রথম নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর "অপসরা"
- ১৯৫৬ সালে, তার নেতৃত্বে ভারতের প্রথম নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর "অপসরা" (Apsara) স্থাপন করা হয়।
- এটি ভারতের পরমাণু শক্তি উৎপাদনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পরিচিত।
৪. নিউক্লিয়ার শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার
- তিনি বিশ্বাস করতেন যে নিউক্লিয়ার শক্তি শুধুমাত্র অস্ত্র তৈরির জন্য নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন, চিকিৎসা ও শিল্পের উন্নয়নের জন্যও ব্যবহার করা উচিত।
- তিনি ভারতের নিউক্লিয়ার শক্তির স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য কাজ করেন, যাতে ভারত এই ক্ষেত্রে বিদেশের ওপর নির্ভরশীল না থাকে।
৫. পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান
- তিনি মনে করতেন যে ভারতের পারমাণবিক শক্তি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হবে।
- তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে নিউক্লিয়ার অস্ত্র প্রতিরোধের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন।
নেহেরু ও হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার সম্পর্ক
হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা এবং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর মধ্যে ছিল ঘনিষ্ঠ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক। নেহেরু ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং ভাবাকে ভারতের পরমাণু শক্তি কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন।
নেহেরুর সমর্থন ও পরমাণু শক্তি কর্মসূচি
১. পরমাণু গবেষণায় স্বাধীন ভারতের অগ্রগতি
- ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, নেহেরু চেয়েছিলেন যে দেশটি বৈজ্ঞানিক উন্নতির মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হোক।
- তিনি বুঝতে পারেন যে পরমাণু শক্তি ভবিষ্যতের শক্তির প্রধান উৎস হতে পারে এবং ভাবার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত হন।
২. টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (TIFR) প্রতিষ্ঠায় সহায়তা
- ১৯৪৫ সালে হোমি ভাবা যখন TIFR (Tata Institute of Fundamental Research) প্রতিষ্ঠা করেন, তখন নেহেরু তার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেন।
- নেহেরু মনে করতেন যে ভারতের বিজ্ঞানীদের নিজস্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান থাকা দরকার, যেখানে তারা স্বাধীনভাবে গবেষণা চালাতে পারবেন।
৩. Atomic Energy Commission (AEC) প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব প্রদান
- ১৯৪৮ সালে, নেহেরুর উদ্যোগে ভারতের "Atomic Energy Commission (AEC)" গঠন করা হয়।
- হোমি ভাবাকে AEC-এর প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়, কারণ তিনি ছিলেন এই ক্ষেত্রের শীর্ষ বিজ্ঞানী। নেহেরু তাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেন ভারতের পরমাণু শক্তি কর্মসূচি পরিচালনা করার জন্য।
পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি
- নেহেরু ও ভাবা উভয়েই বিশ্বাস করতেন যে পরমাণু শক্তির প্রধান উদ্দেশ্য হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শান্তিপূর্ণ ব্যবহার।
- নেহেরু সবসময় নিউক্লিয়ার অস্ত্রের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং চেয়েছিলেন ভারত শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করুক।
- ভাবাও একই মত পোষণ করতেন এবং গবেষণাকে শক্তি উৎপাদন ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করার পক্ষে ছিলেন।
পরিকল্পিত অর্থনৈতিক নীতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা
- নেহেরুর অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
- তিনি Atomic Energy Department (পরমাণু শক্তি বিভাগ) তৈরি করেন, যা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো।
- এই বিভাগে হোমি ভাবা ছিলেন প্রধান বিজ্ঞানী, এবং তিনি সরাসরি নেহেরুর সাথে কাজ করতেন।
নেহেরুর বিশ্বাস ও ভাবার নেতৃত্ব
- নেহেরু বিশ্বাস করতেন যে হোমি ভাবাই ভারতের পরমাণু কর্মসূচির জন্য সঠিক ব্যক্তি।
- তিনি ভাবাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন গবেষণা পরিচালনার জন্য, বাজেট ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
- নেহেরু ভাবাকে বলেছিলেন:
“আপনি যা চান, তার জন্য আমাকে বলুন। আমি আপনাকে এটি এনে দেব।”
নেহেরুর মৃত্যুর পর ভাবার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
- নেহেরু ১৯৬৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং এর পরে ভারতের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
- ভাবা তখন ভারতের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে আরও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করতে শুরু করেন।
- নেহেরুর মৃত্যুর পর ভারতের সরকারে কিছু পরিবর্তন আসলেও, ভাবা তার গবেষণা ও কাজ চালিয়ে যান।
হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা ও জওহরলাল নেহেরুর সম্পর্ক ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে।
নেহেরুর সমর্থন ছাড়া ভারতের পরমাণু শক্তি কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না।
ভাবা নেহেরুর দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন, যা পরবর্তীকালে ভারতের পারমাণবিক শক্তিতে স্বনির্ভরতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার মৃত্যু: দুর্ঘটনা না হত্যা?
হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার মৃত্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক রয়েছে। তিনি ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ফ্রান্সের মন্ট ব্ল্যাঙ্ক (Mont Blanc) পাহাড়ে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। তবে, অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব রয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা হতে পারে।
বিমান দুর্ঘটনার অফিসিয়াল বিবরণ
- হোমি ভাবা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে যাচ্ছিলেন।
- তিনি Air India Flight 101 (Kanchenjunga)-তে যাত্রা করছিলেন, যা মুম্বাই থেকে লন্ডন যাচ্ছিল।
- বিমানটি আল্পস পর্বতমালার মন্ট ব্ল্যাঙ্ক অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয় এবং বিমানের সকল যাত্রী ও ক্রু নিহত হন।
- ফরাসি সরকার ও এয়ার ইন্ডিয়ার তদন্তে এটি একটি দুর্ঘটনা বলে ঘোষণা করা হয়, যেখানে পাইলট ভুল উচ্চতায় বিমান পরিচালনা করছিলেন বলে বলা হয়।
হত্যার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব: সম্ভাব্য কারণ ও প্রমাণ
হোমি ভাবার মৃত্যুকে শুধুমাত্র দুর্ঘটনা বলে মনে করেন না অনেক বিশ্লেষক। কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুযায়ী, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যা।
১. সিআইএ (CIA) ও আমেরিকার সম্ভাব্য জড়িত থাকা
- হোমি ভাবা তখন ভারতের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান নেতা ছিলেন এবং তিনি ভারতের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করছিলেন।
- ১৯৯৫ সালে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ (CIA)-এর একটি ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যায় যে তারা ভারতের পরমাণু কর্মসূচি থামানোর চেষ্টা করছিল।
- ভারত যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করত, তাহলে এটি আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য কৌশলগতভাবে বিপজ্জনক হতো।
২. রবার্ট ক্রোজিয়ারির সাক্ষ্য
- প্রখ্যাত আমেরিকান সাংবাদিক গ্রেগরি ডগলাস এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে রবার্ট ক্রোজিয়ারি (Robert Crowley) নামের এক সাবেক CIA কর্মকর্তা বলেছেন:
"We had to get rid of Bhabha. He was getting too close to making India a nuclear power."
অর্থাৎ, ভাবাকে সরিয়ে দেওয়া জরুরি ছিল, কারণ তিনি ভারতকে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র বানানোর খুব কাছাকাছি ছিলেন। - ডগলাস দাবি করেন, CIA একটি বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করে বিমান বিধ্বস্ত করেছিল।
৩. ফরাসি সরকারের সন্দেহজনক ভূমিকা
- বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ফ্রান্স দ্রুত তদন্ত বন্ধ করে দেয় এবং বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
- অনেকে মনে করেন, এটি একটি গভীর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ জড়িত ছিল।
তুলনামূলক বিশ্লেষণ: দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা?
| প্রমাণ/তত্ত্ব | দুর্ঘটনার পক্ষে যুক্তি | হত্যার পক্ষে যুক্তি |
|---|---|---|
| সরকারি তদন্ত | ফরাসি সরকার বলেছে, পাইলটের ভুলের কারণে বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। | তদন্ত দ্রুত শেষ করা হয় এবং বিস্ফোরণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়। |
| CIA ও আমেরিকার ভূমিকা | কোনো সরাসরি প্রমাণ নেই যে CIA এই ঘটনায় জড়িত। | ১৯৯৫ সালে CIA-এর গোপন নথি ফাঁস হওয়ার পর সন্দেহ বেড়ে যায়। |
| পরমাণু কর্মসূচি | ভারত তখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেনি, তাই ভাবাকে হত্যা করার প্রয়োজনীয়তা ছিল না। | ভাবা ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচির নেতা ছিলেন এবং এটি আমেরিকার জন্য হুমকি ছিল। |
| টেকনিক্যাল দিক | বিমানের পাইলট ভুল উচ্চতায় চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। | অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বিস্ফোরক ডিভাইস বা নাশকতা থাকতে পারে। |
অফিসিয়াল রিপোর্ট অনুসারে, এটি একটি বিমান দুর্ঘটনা ছিল। তবে, অনেক বিশেষজ্ঞ ও গবেষক মনে করেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
হোমি ভাবার মৃত্যু ভারতে পরমাণু কর্মসূচির উন্নয়নে এক বড় ধাক্কা দেয়, যা ভারতের পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনাকে প্রায় এক দশক পিছিয়ে দেয়।
আজও তার মৃত্যু রহস্যঘেরা, এবং এটি সত্যিই একটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা ছিল, তা সম্পূর্ণ নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।





